চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিজয় উদযাপন করায় ভারতের মধ্যপ্রদেশে ১৫ জন মুসলিমের বিরুদ্ধে পুলিশ ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অভিযোগ এনেছে। গত রবিবার যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রিকেট খেলা চলছিল, তখন এরা পাকিস্তানের পক্ষে এবং ভারতের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার মোহাদ গ্রামে। গ্রামের কিছু মানুষ থানায় গিয়ে এই বলে অভিযোগ করেন যে, রবিবারের খেলার সময় অনেক মুসলিম তরুণ পাকিস্তানের পক্ষে শ্লোগান দিচ্ছিলেন এবং পাকিস্তানের বিজয় উদযাপন করছিলেন। এই অভিযোগের পর পুলিশ ভারতীয় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের আওতায় পনের জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ বলছে, সেখানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে তারা আশংকা করছিল। পুলিশ বলছে, যেহেতু ভারত ঐ ম্যাচে হেরেছিল তাই সেখানে পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক। এর আগেও ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের সময় এই গ্রাম থেকে একই ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা ইন্ডিয়া টুডে’কে জানিয়েছেন, এদের ধরা হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সমর্থন করার কারণে নয়। এদের ধরা হয় পাকিস্তানের পক্ষে এবং ভারতের বিপক্ষে শ্লোগান দেয়ার কারণে। ভারতের রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ভারতের মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে ভারতের কর্তৃপক্ষ ভিন্নমত এবং প্রতিবাদ দমনের জন্য অনেক বেশি করে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ব্যবহার করছে। এই আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সংজ্ঞা খুব স্পষ্ট নয়। বিবিসি।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর