সাদ হারির লেবাননের রাজনীতিতে সৌদি সমর্থিত রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে জোট সরকার গঠনের তাগিদে তার সরকারের শরিক হয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ-র সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে এক পর্যায়ে হারিরি-র প্রতি ক্ষুব্ধ হয় রিয়াদ। ২০১৭ সালে নিজ দেশে ডেকে নিয়ে বিমানবন্দরেই তাকে আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। কেড়ে নেওয়া হয় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। সৌদিতে আটক অবস্থাতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন হারিরি। তবে রিয়াদ যে তাকে বলপূর্বক পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য করেছে; এটি স্পষ্ট হয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সৌদি আরব। এক পর্যায়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-র তৎপরতায় মুক্ত হন হারিরি। ম্যাক্রোঁ নিজে সৌদি সফরে গিয়ে হারিরি-র লেবাননে ফেরার ব্যবস্থা করেন। রিয়াদ তাকে বলপূর্বক পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য করায় সেটি কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।
ওই ঘটনায় নিজের বড় পৃষ্ঠপোষক সৌদি আরবের সঙ্গে হারিরি-র দূরত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। হিজবুল্লাহ বরাবরই তার সরকারের শরিক। তবে সম্প্রতি বৈরুতে বিক্ষোভকারীদের একটি ক্যাম্পে হিজবুল্লাহ সমর্থকদের হামলা ও ভাঙচুরের পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ হারিরি। সূত্র: আল জাজিরা, পার্স টুডে।