লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ১০ বছর বয়সী এক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার চরমার্টিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরেনি।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ও এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্থানীয় চরমার্টিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়েন বলে জানা গেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর চাচাতো ভাই হারুনুর রশীদ সোমবার দুপুরে তাকে রান্না ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরেনি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ও রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত হারুন পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর ছাত্রীর মা জানান, ঘটনার সময় বাড়িতে অনেক আত্মীয়-স্বজন থাকায় পরিবারের সবাই তাদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এ সুযোগে হারুন আমার শিশু মেয়েকে তুলে নিয়ে পাশের রান্না ঘরে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় একজন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।