নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আজ সোমবার রাজধানীসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকায় সমাবেশ বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী এলাকা এর আওতামুক্ত থাকবে।
গতকাল রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার দাবিতে সোমবার ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশটি হবে বেলা ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। এ ব্যাপারে আমরা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে চিঠি দিয়েছি।
সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ অনুমতি দিলে তাদের আপত্তি নেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে রিজভী বলেন, আমরা বারবার বলছি, কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই তাকে পছন্দমতো ইউনাইটেড হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সরকার তার চিকিৎসা নিয়ে রহস্যজনক আচরণ করছে। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখে সরকার প্রধান নিষ্ঠুর উল্লাসে মেতে উঠেছে। তিনি দাবি করেন, বেগম খালেদা জিয়া হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও সরকারপ্রধানের নির্দেশে তার জামিন আটকে রাখা হয়েছে।
এমনকি কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা না দেয়ায় সরকারপ্রধানের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এখন সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শুধু পাহাড় কেন, দেশের সব জনপদে রক্তপাতের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি।
তারাই হাজার হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছে এবং বেআইনি অস্ত্র মজুদ রাখার অধিকার দিয়েছে দলীয় সন্ত্রাসীদের। আর এসব মজুদকৃত অস্ত্রের পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়েছে গাজীপুরের এসপির মতো পুলিশ কর্মকর্তাদের। তিনি বলেন, পাহাড়ে আওয়ামী লীগের লালিত সন্ত্রাসীরাই রক্তাক্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত। পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে মদদ দিয়ে আওয়ামী লীগ গোটা পাহাড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।
বর্তমান আওয়ামী যুগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শাসকদের চোখের ইঙ্গিতে নড়াচড়া করে বলেই দেশব্যাপী রক্তাক্ত সহিংসতার এত ভয়ানক তাণ্ডব। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে শেখ হাসিনার দেশবিরোধী নীতির কারণেই পাহাড়ে রক্ত ঝরছে। এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি