২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:০৯

শা’বান মাসের আমলের অনেক ফজিলত ও মর্যাদা

ধর্ম ডেস্ক :

শা’বান মাস আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার নির্ধারিত ১২ মাসের একটি অন্যতম মাস। এ মাসের রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। এ মর্যাদার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) এমনই রোজা রাখতেন যে, আমরা বলতাম তিনি রোজা ভাঙবেন না। আবার এমনই রোজা ভাঙতেন যে, আমরা বলতাম তিনি সাওম রাখবেন না। তিনি রমজান ছাড়া কোনো সম্পূর্ণ মাস রোজা রাখেননি। এছাড়া অন্য কোনো মাসে শা’বানের চেয়ে বেশি রোজা রাখতে আমি তাকে দেখিনি।’ (সহীহ বুখারী-১৮৩৩, সহীহ মুসলিম-১৯৫৬)

আরেকটি বর্ণনায় তিনি আরও বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অল্প কিছুদিন ছাড়া পুরো শা’বানে সাওম রাখতেন।’ (সহীহ মুসলিম-১৯৫৭)

শা’বান মাসেই মু’মিন বান্দার বাৎসরিক আমল আল্লাহ তা’আলার কাছে পেশ করা হয়। তাই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা রাখতেন যেন তার আমল রোজার মত মহান ইবাদতে থাকা অবস্থায় আল্লাহর কাছে উপস্থাপিত হয়।

বস্তুত রোজাই শা’বান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। বিশেষ করে সাপ্তাহিক সোমবার ও বৃহস্পতিবারের রোজা এবং আইয়ামে বিজ তথা আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখা খুবই উত্তম।

এ মাসে বেশ কিছু বর্জনীয় রয়েছে। আগে থেকে রোজা রাখার অভ্যাস না থাকলে হঠাৎ করে রমজানের একদিন বা দু’দিন আগে সাওম রাখা যাবে না।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রামাদানের একদিন বা দু’দিন আগে তোমরা সাওম রেখ না। তবে যে ব্যক্তি সাওম রেখে আসছে, সে রাখতে পারে।’ (সহীহ বুখারী-১৯৮৩, সহীহ মুসলিম-১০৮২)

এছাড়া নফল ইবাদতের জন্য কোনো সময় ও দিন-তারিখ নির্ধারণ ছাড়া যত বেশি সম্ভব, তা করা যায় এবং তা করা উচিত। সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে, যেন কোনো ফরয-ওয়াজিব ছুটে না যায়।

রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে শা’বান মাসের তারিখের হিসাব রাখা বিশেষ জরুরি সুন্নত আমল। হাদিস শরিফে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা রমজানের জন্য শা’বানের চাঁদের হিসাব রাখ।’ (সিলসিলাতুস সহিহাহ, আলবানি, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ১০৩)

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :এপ্রিল ২৪, ২০১৮ ১:২০ অপরাহ্ণ