বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার তৈরি করার দাবী করল আইবিএম। কম্পিউটারটি উৎপাদনে ০.১০ ডলারেরও কম খরচ হবে। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রে এগুলো যুক্ত করা হবে।
কিন্তু, আকারের তুলনায় এর কর্মক্ষমতা অনেক বেশি। ১৯৯০ সালের এক্স৮৬ চিপের সমান কাজ করতে পারে আইবিএমের নতুন ক্ষুদে কম্পিউটারটি।
এটি দিয়ে, ‘তথ্য পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, আদান-প্রদান ও সেটি নিয়ে কাজ করা যাবে।’
নিচের ছবির বাম দিকে ৬৪ মাদারবোর্ডসহ দুটি ছোট কম্পিউটার দেখা যাচ্ছে। ডান দিকে ছোট্ট কম্পিউটারটি একটি চিমটি লবণের মধ্যে থাকা একটি দানার উপর রাখা হয়েছে।
যারা বিটকয়েন মাইনিং ও আদান-প্রদান করেন তাদের ভীষণ কাজে লাগবে এই কম্পিউটারগুলো। ব্লকচেইন পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ ও সেটি নিয়ে কাজ করতে গেলে যে পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান করতে হয় তার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটার প্রয়োজন। এগুলো চালাতেও প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু নতুন ক্ষুদে কম্পিউটারগুলো দিয়ে প্রচুর পরিমাণ তথ্য দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করা যাবে।
রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমান প্রোগ্রামে তথ্য বাছাই করার কাজও করা যাবে এই কম্পিউটার দিয়ে।
আইবিএমের মতে এটা কেবল শুরু। আইবিএমের গবেষণা বিভাগের প্রধান অরবিন্দ কৃষ্ণ বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মধ্যে কালির ফোঁটা বা লবণের দানার চেয়ে ছোট এসব কম্পিউটার দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসের সংযোজন করা হবে।’
নতুন ধরনের কম্পিউটারগুলো কখন বাজারে ছাড়া হবে তা নিশ্চিত করেনি আইবিএম। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকেরা এর প্রোটোটাইপ বা প্রথম নমুনাগুলো নিয়ে গবেষণা করছেন।
কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত, আমরা কল্পবিজ্ঞানের যুগ পৌঁছে গেছি। আপনি দেখতে না পেলে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করুন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ