২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৩৫

বাঞ্ছারামপুরের মাহবুবুর রহমান হাসপাতালে পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাইর অভিযোগ

আশিকুর রহমান:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই ও ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোগীর পিতা ইরন মিয়া জানান, মাজেদা বেগম পেট ব্যথার কারণে ভর্তি হয় মাহবুবুর রহমান মেমোরিয়াল হাসপাতালে। ভর্তির পর ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাপেনডিসাইডের ব্যথা নির্মূলে অপারেশন করেন সার্জন ডা. মো. আসাদুজ্জামান। রোগীকে এক সপ্তাহ ভর্তি রেখে রিলিজের পর বাড়িতে গেলে ফের পেটে ব্যথা ও পুঁজ-রক্তক্ষরণ হতে থাকলে ২য় দফায় সেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে তখন ডাক্তার না থাকায় ওটি (অপারেশন থিয়েটার) বয় মো. রুবেল রোগীর পেটে সেলাই করে যা আমি দূর থেকে দেখি। অভিযোগের সত্যতা জানতে গেলে রুবেল মুঠোফোনে জানায়, আমি স্ট্রিচ লাগিয়েছি। রোগীর স্বামী বলেন, নিরুপায় হয়ে আমি স্ত্রীকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করালে সেই হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রামেই উঠে আসে যে পেটের ভিতরে উচ্ছিষ্ট কিছু আছে। এরপর অপারেশন করা হলে গজ-ব্যান্ডেজ বেরিয়ে আসে। সেখানকার নিউরোসার্জন ডা. এম এ মতিন বলেন, রোগীকে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তার সবই ছিল ভুল। অভিযোগ প্রসঙ্গে গতকাল বাঞ্ছারামপুরের মাহবুবুর রহমান হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আতিকুর রহমান বলেন, রোগী মাজেদা বেগমকে ১২ সেপ্টেম্বর ভর্তি করে অ্যাপেনডিসেকটমি অপারেশন করা হয়। আমরা স্ট্রিচ দেই। ১৮ অক্টোবর ফের ভর্তি হলে আলট্রাসনোগ্রামে নরমাল হলেও ইনফেকশন বেশি হওয়ায় ঢাকা রেফার করি।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে ওটি বয়রা নিজেরাই ডাক্তার বনে যান। আর তার স্বীকার হলেন মাজেদা বেগম। ইনফেকশন বেশি হওয়ায় বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা সংকাটাপন্ন। ঢাকা থেকে অসুস্থ মাজেদা মুঠোফোনে বলেন, আমি হাসপাতাল ও ওই ডাক্তারের বিচার চাই। আমি হয়তো মারা যাব, কিন্তু আপনারা জাতির সামনে হাসপাতালটির অনিয়মের কথা তুলে ধরেন আর যেন কোনো রোগীকে আমার মতো ভুল চিকিৎসার স্বীকার হতে না হয়। আসপাশের লোকজন আরো বলেন মাহবুবুর রহমানের হাসপাতালটির অনিয়ম দূর্নিতির শেষ নেই।এখানের পরিক্ষার রিপোর্ট ঢাকা গেলে মিলেনা।সাধারন জনগনকেই এর ভর্তুকি দিতে হয়, এবে এর আগেও এরকম অনেক ঘটনা হয়েছে কেহ জানেনি।তারা সেবা নামে ব্যাবসা চাকিয়ে যাচ্ছে কশাইয়ের মত।এই হাসপাতালটি একটি সিজারে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করে।সাধারন পাবলিকর গলাশ ছুরি বসিয়ে দেয়। এই হাসপাতালের এমন অনুযোগ ও আছে যে সুফিয়া নামের একটি রুগির সিজারের জন্য সব রেডি রুগির অবিভাকের স্বাক্ষর নিয়ে নিয়াছে সিজারের জন্য একটু দেরি হওয়াতেই নরমাল ডেলিভারি হয়ে যায়। তবে তার বিলও ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে।অভিবাদক আঃঅদুদ বলেন এমন জানলে তাদের কাছে আসতাম না তারা আমাদের সাথে প্রতারনা করছে।তবে আসছিলাম তাদের নাম শুনে তাদের বেতরে খালি। আবার সরকারি নিয়মেয় তাদের ব্যাড অনুসারে ডাক্তার,নার্স,সুইপার,আছে কি। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।সিভিল সার্জন নিশিত কুমার এর সাথে মোঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি জানিনা তবে আমার কাছে নিউজটি এখনো আসেনি। আমি জেনে আইন অনুসারে ব্যাবস্থা নেব।

দৈনিক দেশজনতা /এন আর

প্রকাশ :অক্টোবর ৩০, ২০১৭ ৯:১৩ অপরাহ্ণ