ভোলা প্রতিবেদক:
ভোলা জেলা কারাগারে ধারন ক্ষমতার প্রায় ৭ গুন বন্দি দুর্বিশহ মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এরমধ্যে আবার বন্দিদের ৩টি ভবনের মধ্যে সব কয়টি জরাজীর্ণ হয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবনে পরিনত হয়েছে। এছাড়া কারা হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স সংকট রয়েছে। দীর্ঘ এক বছরের অধিক সময় ধরে চিকিৎস ও নার্সের একটি করে দুটি পদ শূণ্য রয়েছে। এতে বন্দি রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জেলা কারাগার সুত্র জানিয়েছে, ভোলা শহরে চরনোয়াবাদ এলাকায় পুলিশ লাইন্স এলাকায় ভোলা জেলা কারাগার অবস্থিত। সেখানে ১শ’ বন্দির থাকার ধারন ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ১শ’ ধারন ক্ষমতার বিপরীতে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রয়েছে ৬শ’ ৭০জন। যাদের মধ্যে ৫শ’ জন হাজতি ও ১শ’ ৭০ জন কয়েদি। এসব বন্দির মধ্যে ১১ জন নারী রয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থান সংকুলন না হওয়ায় বন্দিদের অনেক গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। তারমধ্যে আবার ভবন পুরনো। বিশেষ করে কারাগারে ১০ বেডের হাসপাতালে একজনও চিকিৎসক ও নার্স নেই। সেখানে দুটি পদ থাকলেও এক বছর ধরে তা শূণ্য। প্রয়োজনের তাগিদে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে জরুরি ডাক্তার ও নার্স আনতে হয়।
জানা গেছে, বন্দিরে মধ্যে মাদক ও শিশু নির্যাতন মামলা আসামী সবচেয়ে বেশী। এছাড়া সম্প্রতি ইলিশ অভিযানে ১শ’ ৮০ জন জেলে রয়েছে। বন্দিদের থাকার স্থান কম থাকায় তাদের মানবেতন দিন কাটাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা কারাগারের জেলার মাসুদ হাসান জুয়েল জানান, বন্দিদের বাসস্থান সংকট রয়েছে, বিষয়টি আমরা প্রতি মাসেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পক্ষকে চিঠির মাধ্যমে জানাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া ভবন জরাজীর্ণ ও অবকাঠামোর সমস্যার কথাও জানানো হয়ছে। নার্স-চিকিৎসা সংকটের কারণে বন্দি রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর