স্পোর্টস ডেস্ক:
ফাহিম আশরাফের কথা মনে আছে? এই বছরই ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করে পাকিস্তানকে একাই জিতিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ঝড় তোলা সেই ফাহিম এবার বল হাতে দারুণ পারফর্ম করলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম পাকিস্তানি বোলার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। আর তা দিয়েই ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম লিখে রাখলেন ফাহিম।
২৩ বছর বয়সী ফাহিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে জুনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। দলে আছেন বোলিং অল রাউন্ডার হিসেবে। ব্যাটিংটা যে ভালোই পারেন তা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে। ৩০ বলে ৬৪ রানের এক ঝড় দেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। জেতা ম্যাচ হেরেছিল।
আর শুক্রবার শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা দেখল বল হাতে শিকারী ফাহিমকে। ১৮ তম ওভারের শেষ তিন বলে তুলে নিলেন ইসুরু উদানা, মাহেলা উদয়াত্তে ও দাসুন শানাকার উইকেট। উদানা ও উদয়াত্তে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন, আর শানাকা পড়লেন এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে। ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট, এটি ফাহিমের ক্যারিয়ারসেরা। তার হ্যাটট্রিকেই মাত্র ১২৪ রানে আটকে ফেলা যায় শ্রীলঙ্কান ইনিংস। এটি ছিল ফাহিমের ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টি-টুয়েন্টি এবং ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
টি-টুয়েন্টিতে এটা মাত্রই ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। আগের পাঁচটি করেছেন ব্রেট লি, জ্যাকব ওরাম, টিম সাউদি, থিসারা পেরেরা ও লাসিথ মালিঙ্গা। পাকিস্তানের হয়ে শেষ ১৫ বছরে প্রথম হ্যাটট্রিকও এটা। সর্বশেষ ২০০২ সালে টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন মোহাম্মদ সামি। মজার বিষয়টি হচ্ছে, টেস্টে পাকিস্তানের চারটি হ্যাটট্রিকই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর ওয়ানডেতে আটটির মধ্যে কোনটিই তাদের বিপক্ষে না।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানে এর মধ্যে জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ অক্টোবর, লাহোরে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ