নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী কিশোরীর ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে তার জানত না। ধর্ষক শাহাদাতের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিটি মুহূর্ত দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপে ছিলো ওই কিশোরীর পরিবার। তারা কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না। অবশেষে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বিয়েতে রাজি হয় শাহাদতের পরিবার। শুক্রবার গভীর রাতে শাহাদাতের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নম্বর বাকিলা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের চতন্তর গ্রামের আহমেদ মুন্সি বাড়িতে শালিস বৈঠক হয়। এ সময় শাহাদাতের পরিবার কোনোভাবেই বিয়েতে রাজি হচ্ছিলো না। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানকে অবগত করা হয়।
এসময় তিনি হাজীগঞ্জ থানা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবদুল মান্নান ও দুইজন উপ-পরিদর্শকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য পাঠান। পরে শাহাদাৎ ও তার পরিবার বিয়েতে রাজি হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন জানান, প্রথমে ছেলে পক্ষ কোনোভাবেই বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে। অনেক কথাবার্তার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ৩টায় ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ২ লাখ টাকা উসুলে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ে পড়ান কাজী মফিজুল ইসলাম। আগামী দুই একদিনের মধ্যে বউ ঘরে তুলে নিবে শাহাদাৎ বলেও জানান ইউপি সদস্য। কিশোরীর বাবা বলেন, আমি সঠিক বিচার পেয়েছি। এখন আর আমার কোনো অভিযোগ নেই।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, আপনার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। মেয়ের ন্যায্য অধিকার পাওয়ায় সহযোগিতা করার সুযোগ পেয়েছি। নইলে মেয়েটির সঠিক বিচার পেতে আরো বিলম্ব হতে পারতো। আমরা সব ধরনের অন্যায় অবিচার বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধেই এভাবে কাজ করার চেষ্টা করি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ