নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বনানীতে জন্মদিনের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ইভানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসাইন নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৪ জুলাই রাতে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে বনানীর বাসায় নিয়ে ইভান নামে এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন এক তরুণী। পরদিন ৫ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগ এনে বনানী থানায় বাহাউদ্দিন ইভানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন তিনি। ৬ জুলাই বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ইভানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
পরদিন ৭ জুলাই ইভানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ জুলাই ইভান ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১১ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইভানের সঙ্গে তার (তরুণীর) বন্ধুত্ব হয়। এর সূত্র ধরে তারা দেখা-সাক্ষাৎ ও ঘোরাঘুরি করতেন। চার মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন রাত ৯টায় ইভান ফোন করে ওই তরুণীকে জন্মদিনের কথা বলে তার বাসায় যেতে বলেন এবং তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন বলে জানান।
ওই তরুণী বাসায় গিয়ে কাউকে দেখেননি। জানতে চাইলে ইভান জানান, তার বাবা-মা অসুস্থ। তাই ঘুমিয়ে আছেন। জোরে কথা বলা যাবে না।
এজাহারে আরো বলা হয়, বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কোনো আলামত না দেখে ওই তরুণী ফিরে যেতে চাইলে তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। এরপর রাতের খাবার এবং নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায় ইভান। আমি তাকে নিষেধ করলে সে একদিন খেলে কিছু হবে না মর্মে জানায়।
এরপর রাত দেড়টায় ইভান তাকে ধর্ষণ করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চিৎকার করতে থাকলে সে রাত সাড়ে ৩টায় আমার ব্যাগ রেখে বাসা থেকে বের করে দেয়।’
তরুণীর ভাষ্য, ব্যাগে তিনটা ড্রেস, দুটি জিন্স, একটা কুর্তা, তিনটি মোবাইল, চার্জার, সিম কার্ড, মেমোরি কার্ড ও নগদ ১৫ হাজার টাকা ছিল। বাসা থেকে রাতে বের করে দেওয়ার পর পথচারী এক ভদ্রলোকের সহায়তায় তিনি বাসায় ফেরেন।
তরুণী আরও বলেন, ‘আসামি (ইভান) আমাকে এর আগেও বিবাহের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। আমাকে ভয় দেখায়, মুখ খুললে তার কাছে থাকা খারাপ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ