২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:২২

মা-মেয়েকে পতিতা সাজিয়ে পুলিশে দেবার হুমকি

লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি:
উচ্চস্বরে গান বাজাতে নিষেধ করায় রাঙামটির সাবেক উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য জেসমিন আক্তারের মেয়ে নুসরাত নাজনীন তন্দ্রা(২৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে মারপিট করেছে স্বামীর আত্মীয়স্বজনসহ প্রতিবেশিরা। নড়াইলের লোহাগড়ার চরমল্লিকপুর গ্রামে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এঘটনা ঘটে। আহত নুসরাত নাজনীন তন্দ্রা কে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র ও অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়ার চরমল্লিকপুর গ্রামের মোঃ নাজিম উদ্দিন রাঙামাটি এলাকার সাবেক উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য(বর্তমানে মুসলিম) জেসমিন আক্তারকে বিয়ে করার পর চট্রগামে প্রায় ২৫ বছর যাবত বসবাস করতেন। ২৫ বছর পর স্ত্রী, সন্তান নিয়ে তিনি চলতি বছর ২৬ মার্চ চরমল্লিকপুর গ্রামে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু নাজিম উদ্দিন এর ভাই দিদার শেখসহ কয়েকজনে তার বাড়ি ফেরাকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের ইচ্ছে ছিল নাজিমের জমা-জমি ভোগদখল করে খাবেন। কিন্তু বাড়িতে স্বপরিবারে ফিরে আসায় পরিকল্পনা নষ্ট হয় দিদার শেখ ও তার সহযোগিদের। তাই বিভিন্নভাবে নাজিম উদ্দিন এর পরিবারকে উত্যক্ত করা হতো। নাজিম উদ্দিন বর্তমানে চট্রগ্রাম পোর্টে নিরাপত্তা শাখায় কর্মরত। বড় সন্তান নুসরাত নাজনীন তন্দ্রা চট্রগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ বছর প্রথম শ্রেণিতে বিবিএ পাশ করে বিসিএস দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ছেলে বোরহান উদ্দিন রব্বানী এ বছর এসএসসি পাশ করছে।

চাকুরির কারনে নাজিম উদ্দিন চট্রগ্রামে থাকলেও বর্তমানে চরমল্লিকপুর গ্রামে তার স্ত্রী জেসমিন দুসন্তান নিয়ে নিজবাড়িতে বসবাস করেন। কিন্তু তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী নাজিম উদ্দিনের ভাই দিদার শেখ ও তার স্ত্রী,সন্তানসহ আত্মীয় স্বজনরা নাজিম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের ভালো চোখে দেখেন না। তারা বিভিন্ন অজুহাতে গালিগালাজ করে থাকে।
রোববার(১৮ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উচ্চস্বরে গান বাজাতে নিষেধ করায় দিদার শেখের ছেলে সজিব(২৪), মেয়ে রিমি,ঝিমি, স্ত্রী রাশিদা, নিজাম, নাইম সহ কয়েকজনে নুসরাত নাজনীন তন্দ্রার ঘরে প্রবেশ করে তন্দ্রাকে বেদম মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও তন্দ্রার মা তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। জেসমিন আক্তার অভিযোগ করেন, মারপিট করার পর নাইম মোল্যা, বক্কার শেখ ও সজিব হুমকি দেয় যে, যদি মামলা করিস তাহলে মা-মেয়েকে পতিতা সাজিয়ে পুলিশে দেবো। তিনি আরো জানান, কয়েকদিন আগে আমরা নানা অত্যাচারের বিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। থানায় অভিযোগ দেবার পর থেকেই উল্লেখিতরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনা শুনে এসআই কেএম জাফর আলীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। ভুক্তভোগীরা মামলা(এজাহার)দিলে ব্যবস্থা নেবো।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

 

প্রকাশ :জুন ২০, ২০১৭ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ