বগুড়ার শেরপুরের তালিকা ভুক্ত ১’শ ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধার সরকার দেওয়া সম্মানি ভাতা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে সম্মানি ভাতা পাওয়ার বিষয়টি। আর মাত্র কয়েকদিন পরে অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম উম্মার বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর। এই বৃহত্তম মহা আনন্দ উৎসবে শরিক হতে না পারার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শেরপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের।
জানা যায়, সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১২জুন ২০১৭ তারিখের পরিপত্রে স্বারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৬.৩৪.০০১.১৭.২৪২ এতে বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা বিতরণ নীতিমালা ২০১৩ বলবৎ থাকলেও পরিপত্রের আলোকে সম্মানি ভাতা পাওয়ার বিষয়টি সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার মওলাবক্স সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে স্পষ্ট বলা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানি ভাতা বিতরণ নীতিমালা ২০১৩ চালু রয়েছে। অন্যান্য সকল শর্তাদি আরোপিত ছিলো তা শিথিল করা হয়েছে। গত ১২ জুন সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রের ৬ নং কলামের আলোকে বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতার নীতিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের ওই পরিপত্রের আদেশ পুরোপরি কার্যকর হচ্ছে না বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায়।
এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলামের সাথে দেখা করলে তিনি বলেন, সকল মুক্তিযোদ্ধারা পৃথকভাবে ৩ শত টাকার নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে মুচলেকা এবং স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্মানি ভাতার টাকা দেওয়া যেতে পারে।