আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেন সে দেশে বসবাসরত তিন বাংলাদেশিকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টমি মিয়া নামে পরিচিত রাঁধুনি আজমান মিয়া, ব্যাংকার সুলতান আহমেদ চৌধুরী এবং অধিকারকর্মী আকিলা চৌধুরীকে মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) নামের ওই সম্মানরা তুলে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞান ও কলা, কিংবা মানবিক ও সহায়তা খাতে বিশের অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মানা দেওয়া হয়ে থাকে। সাবেক প্রেসিডেন্ট কিং জর্জ ভি ১৯১৭ সালে এই সম্মাননা প্রতর্বন করেন। রীতি অনুযায়ী, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আনুষ্ঠানিক জন্মদিনে সম্মাননাপ্রাপ্তরা আমন্ত্রণ পাবেন।
সম্মাননা পেতে যাওয়া তিন বাংলাদেশির মধ্যে সুলতান আহমেদ চৌধুরী ব্রিটেনে আল রায়ান ব্যাংকের (ব্রিটেনের ইসলামী ব্যাংক) প্রধান নির্বাহী (সিইও) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি মূলত একজন চার্টার্ট অ্যাকাউনটেন্টস। ব্রিটেনের ইসলামী ফাইন্যান্সে অবদানের জন্য তাকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ‘সম্মানিত কর্মকর্তা’ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এই চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টস পাশ্চাত্যের প্রথম ইসলামী ব্যাংক ব্যাংক অব ব্রিটেনের (আইবিবি) প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করেন। ২০০৭ সালে তাকে ব্যাংকের কমার্শিয়াল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওযা হয়।
সম্মানিত হতে যাওয়া আরেক ব্যক্তি টমি মিয়া। বিশ্বজুড়ে তার রান্নার প্রশস্তি। যুক্তরাজ্যে আতিথিয়েতা (হসপিটালিটি) ও দাতব্য কাজে অবদানের জন্য সবজী রাঁধুনী মোহাম্মদ আজমান মিয়াকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা এ রাঁধুনী সিলেটের মৌলভীবাজারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মূলত ১০ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন এবং স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে রাজ রেস্তোঁরা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশে টমি মিয়া’স ইনস্টিটিউট অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান।
জনকল্যাণমূলক ভূমিকা রাখার জন্য ইয়র্কশায়ারের বাসিন্দা আকিলা চৌধুরীকেও এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। তিনি মূলত শ্রমিক ও দরিদ্র মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করেন। প্রতিবছর রানীর জন্মদিনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। তবে যুক্তরাজ্যের সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবার অনন্য নজির স্থাপন করে এ সম্মাননার তালিকায় ১০ শতাংশ কালো ও সংখ্যা লঘিষ্ট মানুষকে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত এক হাজার ১০৯ জনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর এ সম্মাননা পাওয়া অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক গায়ক স্যার পল ম্যাককার্টনে, হ্যারিপটার সিরিজের লেখক জেকে রাউলিং প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ