নিজস্ব প্রতিবেদক:
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ব্যাংক হিসাবে বাজেটে প্রস্তাবিত বাড়তি আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার ভাবনার কথা মঙ্গলবার সংসদে জানান। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সেই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, “… হি ইজ নট এ রেসপনসিবল পারসন! সো এটা কি হবে?”
আবগারি শুল্ক কত কমানো হতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সংসদে বাজেট পেশ করা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।
তবে বুধবার অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, “দিজ ইজ আ… এটা খুব ইন্টারেস্টিং। এই আবগারি বলেন আর যাই বলেন, … নতুন এটা কিছুই না। এখন অবশ্য কথা বলছেন যে রেইট বাড়ছে। প্রথমে তো মনে হল যখন আপনার চিৎকার করতে শুরু করলেন… এটা যেন নতুন একটা জিনিস হয়েছে, নাথিং নিউ। রেইট বেড়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তফাৎ যদি কিছু হয় রেইটের ভেতর তফাত হবে, দ্যাটস অল।”
অর্থমন্ত্রী গত ১ জুন তার বাজেট প্রস্তাবে ব্যাংক হিসাবের ওপর বাড়তি হারে আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিলে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, বছরের যেকোনো সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে আবগারি শুল্ক বিদ্যমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করা হবে।
পাশাপাশি ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনে ১৫ হাজার টাকার বদলে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা আবগারি শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করেছেন না। তারা বলছেন, শুল্ক বাড়লে লেনদেনের অবৈধ মাধ্যম উৎসাহিত হবে।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় কয়েকজন সাংসদও জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম