২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:২৫

ওয়ালটনসহ দেশীয় শিল্প পণ্যের প্রশংসা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনসহ দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ রেফ্রিজারেটরের বাজার দখল করে আছে। গত অর্থবছরে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো ১৮ লাখ রেফ্রিজারেটর তৈরি করেছে।

বুধবার  সংসদ অধিবেশনে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় ওয়ালটনসহ দেশীয় শিল্প পণ্যের প্রশংসা করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশীয় শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ওয়ালটন ও ভিশনসহ দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো গত অর্থবছরে ১৮ লাখ রেফ্রিজারেটর তৈরি করেছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ রেফ্রিজারেটরের বাজার দখল করেছে এসব প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার শিল্প পণ্য এখানে তৈরি হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ বান্ধব যে প্রতিশ্রুতি, তার যে নীতিমালা এবং অর্থমন্ত্রীর যুগপোযোগী বাজেট উপস্থাপনার কারণে সারা বিশ্বের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ছুটে আসছে।’

বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে পলক বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে আমরা উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেব। এ বিষয়ক দুটি প্রকল্প থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেব। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা ৪টি খাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এগুলো হলো মানব সম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, ই-গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠা এবং আইসিটি সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিবছর ৫ লাখ ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রায় ৩০ লাখ মোবাইল ফোন, প্রায় ২০ লাখ রেফ্রিজারেটর আমদানি করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার জন্য আমরা দাবি করেছিলাম একশটি কাঁচামাল পণ্যে যদি কর রিয়াত প্রদান করা হয় তাহলে আমাদের দেশি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। অর্থমন্ত্রী আমাদের আইসিটি পরিবারের সেই দাবি গ্রহণ করেছেন। তিনি ৯৪টি পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করেছেন। ফলে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য যোগাযোগ করতে শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশেকে আইসিটির অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তৈরি করার জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি সেক্টরকে সব ধরনের ট্যাক্স মুক্ত করেছেন। পৃথিবীর আর কোনো দেশে সরকার এই মুহূর্তে এতোটা বিনিয়োগ বান্ধব নয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার সারা বাংলাদেশে সাড়ে ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছে। আগামীতে প্রাইমারি, হাইস্কুল এবং কলেজ মাদরাসায় আরও ১৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য, বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতাসহ যে ৬৫ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয় তা নিয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। তা দূর করার জন্য ২০২১ সাল নাগাদ ক্যাশলেস সোসাইটির একটি গভর্ণমেন্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি।’

দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ

প্রকাশ :জুন ১৪, ২০১৭ ৪:৪৭ অপরাহ্ণ