নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদকে সামনে রেখে নোয়াখালী চৌমুহনীতে অপরিছন্ন ও অস্বাস্থকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নিম্ম মানের সেমাই। সরজমেিন দেখা যায়, বিএসটিআই অনুমোদিত ১৫টির অধিক কারখানার মালিকরা স্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই তৈরির কথা থাকলে ও বাস্তবে দেখা যায় সেমাই তৈরীর সময় অনেক শ্রমিককে হাতে গ্লাপস,মুখে মাস্ক,মাথায় ক্যাপ কিছুই দেখা যায়নি। বরং গায়ে ঘাম নিয়ে স্যাত স্যাতে জায়গার মধ্যে সেমাই তৈরীর খামির থেকে শুরু করে তেলে ভাজি করা পর্যন্ত সব কিছুই হচ্ছে অস্বাস্থকর পরিবেশে। কিছু কারখানায় দেখা যায় পুরোনো তৈল দিয়ে ভাজি করা হচ্ছে সেমাই। এছাড়া সেমাই তৈরির আশপাশের পরিবেশ নোংরা,দূর্গন্ধযুক্ত অনেক যায়গা আলো বাতাসের চলাচলের সুযোগ পর্যন্ত নেই। জানা যায়,ব্যাবসায়ী সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুম ও আরেক ব্যাবসায়ী আনোয়ার এর নের্তৃত্বে শক্ত সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে অপরিছন্ন ও অস্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই তৈরির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হরদমে। এ বিষয়ে সোমবার বিএসটিআই চট্রগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তা ইকবাল আম্মদ্ ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা খানম এর নের্তৃত্বে কয়েকটি প্রতিষ্টানে অভিযান চালানো হয় এবং জরিমানা করা হয় আদায় করেন। এর মধ্যে একজনকে অস্বাস্থকর পরিবেশে সেমাই তৈরির জন্য সাংবাদিকদের সামনে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা খানম কারাদন্ড দেওয়ার কথা বললেও পরে উপরের তদবিরের কারনে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় এমনকি তার প্রতিষ্টানের সেমাই পর্যন্ত ও ধংস করা হয়নি । এক প্রশ্নের জবাবে লোক দেখানো অভিযান নয় বলে সামনে আরো অভিযান হবে বলে জানান।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ