২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১৭

দক্ষিণাঞ্চলে জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে। আজ সকাল থেকেও দক্ষিণাঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি নামছে। পটুয়াখালী, ভোলা ও বরগুনায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। দুই দিন ধরে চার জেলায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছে।  ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ভোলার মেঘনা নদীতে বিকেলে জোয়ারের উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৬৫ মিটার। জেলায় ২০টি গ্রাম ও ৩০টি চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, পাঁচ শতাধিক মাছের পুকুর-ঘের ডুবে গেছে। চরফ্যাশন উপজেলায় মাছের দুটি ট্রলার ডুবে গেছে তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমহনী এলাকার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।  দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দৌলতখান ও তজুমদ্দিন উপজেলার মদনপুর, হাজীপুর, মনপুরা, দক্ষিণ সাকুচিয়া ও হাজিরহাট ইউনিয়নের অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। এই এলাকাগুলোতে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নেই। বরগুনার আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিনের বৈরী আবহাওয়া ও ভারী বর্ষণের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় এক মিটার পানি বেড়েছে। এতে আমতলীর বালিয়াতলীর বয়াতিবাড়ি-সংলগ্ন ২০০ মিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বালিয়াতলী, ঘোপখালী, পশুরবুনিয়া, দক্ষিণ ঘোপখালী ও চরকগাছিয়া; তালতলী উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া এলাকার এক কিলোমিটার ভাঙা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তেতুঁলবাড়িয়া, নলবুনিয়া, আগাপাড়া ও মোয়াপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  এ ছাড়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদীসংলগ্ন তালতলী উপজেলার ২০ গ্রামসহ আমুয়ারচর ও গুলিশাখালী গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় এসব এলাকার পরিবারগুলো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

প্রকাশ :জুন ১৩, ২০১৭ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ