দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
রাজশাহীর তানোরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান ‘ অপারশেন রিবার্থ’ শেষ হয়েছে। অভিযান শেষে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ। তিনি বলেন, পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘিরে রাখা বাড়াটিতে প্রবেশ করে বিশেষজ্ঞ ওই দলটি। সেখানে তিনটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া গেছে। সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা ছিল। পরে সেগুলো নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। অভিযানে বাড়িটি থেকে দুটি মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ, নগদ দুই লাখ টাকা এবং বেশকিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। রাত সোয়া ১১টার দিকে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে ‘অপারেশন রিবার্থ’। এরপর সেখানে কাজ শুরু করেছে পুলিশের ক্রাইমসিন বিভাগ। নিশারুল আরিফ আরও বলেন, রোববার মধ্য রাতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে তানোরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার রমজান আলীর বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ। এরপর বাড়িটি থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, একটি ৭.৬২ মডেলের এমএম বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগজিন। আরেক দফা ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বের করে আনা হয় গৃহকর্তা রমজান আলী (৫৫), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে ইব্রাহিমের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০), ইব্রাহিম ও মর্জিনার তিন শিশু সন্তান তামান্না (১০), তাসকিরা (৪) ও তানসিরা (৬ মাস), ছেলে ইসরাফিলের স্ত্রী হারেছা খাতুন (২২), মেয়ে হাওয়া বেগম (২৩) ও তার তিন মাসের মেয়ে শিশু। গৃহকর্তা রমজান আলী উপজেলার গৌরাঙ্গপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। অতিরিক্ত ডিআইজ বলেন, উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন আলামত থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। আটকরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সকাল থেকে ঘটনাস্থলে ছিলেন রাজশাহীর পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা। তিনি জানান, রাত আড়াইটার দিকে কৌশলে ওই বাড়ি থেকে জঙ্গি সন্দেহে প্রথমে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের ধারণা, এ তিনজনই নব্য জেএমবির সদস্য। সকালে অন্যদের আটক করে থানায় হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এনিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ