নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী ২৫ জুলাই থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই হালনাগাদের কাজ চলবে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে এবং যেসব নাগরিক যোগ্য হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে ভোটার হতে পারেননি কেবলমাত্র তাদের ভোটার করা হবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, এই ধাপে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই নির্দেশনাটি শিগগিরই মাঠ পর্যায়ের সব উপজেলা, থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও সুপার ভাইজারদের যাচাই কার্যক্রম চলবে ২৫ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট। এরপর ২০ অগাস্ট থেকে ২২ অক্টোবর নাগরিকদের নিবন্ধন চলবে। (ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী) ছুটির দিনগুলো ব্যতীত)।
ওই নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, এই সময়সীমা স্থানীয় বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রেশন অফিসার পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে সময় পরিবর্তন করতে চাইলে তার যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যাসহ যথাসময়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে জানাতে হবে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) আব্দুল বাতেন জানান, আমরা এ বছর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে এমন নাগরিকদের তথ্যই নেব এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু ২০১৮ সালের শেষ বা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তাই এবার কম বয়সিদের তথ্য সংগ্রহ করলে রাজনৈতিক দল বা বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হতে পারে। তাই কমিশন নিজের অবস্থান স্বচ্ছ রাখার জন্য কোনো সমালোচনায় জড়াতে চায় না। তাই আগের নেওয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে।
২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রমের পর ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের কম বয়সিদের তথ্য নেয় কমিশন। তখন যাদের জন্ম ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে এই ধরনের ১৫ বছর বয়সি নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইসি। বর্তমানে ১০ কোটি ১৮ লাখ ভোটার রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ