নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য সোমবার (১২ জুন) ট্রেন ও দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ ও বৃষ্টিবিঘ্নিত আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোররাত থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন এবং গাবতলী, কল্যাণপুর, মালিবাগ, ফকিরাপুল, সায়দাবাদ, শ্যামলীসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
এ দিন সকাল ৭টায় গাবতলী টার্মিনালে বাসের এবং সকাল ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এর মধ্যে ২২ ও ২৩ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে। সোমবার (১২ জুন) বিক্রি হচ্ছে ২১ জুনের ট্রেনের টিকিট, ১৩ জুন বিক্রি করা হবে ২২ জুনের টিকিট। ১৪ জুন বিক্রি হবে ২৩ জুনের টিকিট। ১৫ ও ১৬ জুন যথাক্রমে ২৪ ও ২৫ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
আর ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ১৯ জুন বিক্রি হবে ২৮ জুনের টিকিট, ২০ জুন বিক্রি হবে ২৯ জুনের টিকিট, ২১ জুন বিক্রি হবে ৩০ জুনের টিকিট, ২২ জুন বিক্রি হবে ১ জুলাইয়ের টিকিট, ২৩ জুন বিক্রি হবে ২ জুলাইয়ের টিকিট।
একই সঙ্গে সোমবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টিরও বেশি রুটে এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। একজন যাত্রী চারটি টিকিটের বেশি নিতে পারবেন না বলে এবার বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনা রয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন অনলাইনেও বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। অনলাইনগুলোর মধ্যে রয়েছে- সহজ ডটকম, বাসবিডি ডটকম ডটবিডি, বিডি টিকেটস ডটকম। পাশাপাশি শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও দেশ ট্রাভেলস তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে।
এ বিষয়ে শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এজন্য ভাড়ার একটি তালিকা কাউন্টারগুলোতে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে সমিতির পক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য টার্মিনালগুলোতে অভিযোগ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বেশি ভাড়া নিলে যাত্রীরা ওখানে অভিযোগ করবেন। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রীদের সতর্কতার জন্য আমরা বাস টার্মিনালে প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করেছি। সেখানে কাউন্টার ব্যতীত কারো কাছ থেকে টিকিট নেওয়া থেকে বিরত থাকা, অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট কিনতে পারেন সে বিষয়টি এবার বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। ঈদের টিকিটের জন্য কাউন্টারগুলোতে বেশ চাপ রয়েছে। তাই সামাল দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে শ্যামলী পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে চাপ অনেক।’ হানিক পরিবহনের কল্যাণপুর কাউন্টরের কর্মকর্তা বশিয়ার বলেন, ‘ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। টিকিট বিক্রিতে চাপ অনেক।’
দৈনিক দেশজনতা/ এমএইচ