আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সফরকালে ব্যাপক বিক্ষোভ হতে পারে এই আশঙ্কায় ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ফোনালাপের সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেনের জনগণ তার সফরের প্রতি সমর্থন না জানানো পর্যন্ত তিনি সেখানে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন না। সফরকালে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হলেও তিনি যুক্তরাজ্য সফর করবেন না।
সম্প্রতি ট্রাম্প-মে এই ফোনালাপ হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডাউনিং স্ট্রিটের এক উপদেষ্টা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন। ফোনালাপের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন। ট্রাম্পের এ বক্তব্যে বেশ বিস্মিত হয়েছেন মে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার মাত্র সাত দিনের মাথায় ওয়াশিংটন সফর করেন মে। ট্রাম্প ক্ষমতায় গ্রহণের পর তিনি হয়েছিলেন আমেরিকা সফরকারী প্রথম বিদেশি নেতা। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়াকে ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আমন্ত্রণের কথাও জানান তিনি। ট্রাম্প সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন।
ব্রিটেনের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লর্ড রিকেটসসহ অনেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদ সে সময়ে বলেছিলেন, এ আমন্ত্রণ আগাম জানানো হয়েছে। তবে একবার আমন্ত্রণ জানানো পর তা বাতিল করা অসম্ভব।
অবশ্য এ ফোনালাপের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র। তিনি একে ব্যক্তিগত ফোনালাপ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হোয়াইট হাউজ অবশ্য গার্ডিয়ানের এই প্রতিবেদনকে অসত্য দাবি করেছে। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, ‘ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র প্রতি প্রেসিডেন্টের অসাধারণ শ্রদ্ধা রয়েছে। বিষয়টি কখনোই ফোনালাপে আসেনি।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর