বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনায় সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৭জন।
মঙ্গলবার (২৪মার্চ) সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একদিনেই ২০৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ২০৫ জনের মধ্যে ৮২ জন জেদ্দায়, ৬৯ জন রিয়াদে, ১২ জন আল বাহা, ৮ জন বিসা, ৮ জন নাজরান, ৬ জন আবহা, ৬ জন কাতিফ, ৬ জন দাম্মাম, ৩ জন জিজান, ২ জন খোবর, ২ জন দাহরান ও একজন মদীনায় রয়েছেন।
করোনার বিস্তার রোধে শুরু থেকেই সতর্ক রয়েছে সৌদি প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে চলছে কারফিউ। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত (২১দিন) চলবে এই কারফিউ। কেউ কারফিউ অমান্য করলে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। ফলে কারফিউ শরু হওয়ার পর নীরব হয়ে গেছে সৌদির ব্যস্ত শহরগুলো।
তবে, নিচের ১৪ শ্রেণির ব্যক্তি ও খাত এই কারফিউয়ের আওতামুক্ত:
১. নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সুপার মার্কেট, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মাংস, সবজি বিক্রি ও উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
২. যারা স্বাস্থ্য ও ফার্মেসি খাতে কর্মরত।
৩. গণমাধ্যমকর্মীরা।
৪. খাদ্যদ্রব্য ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানি ও এ জাতীয় পণ্য পরিবহণ সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
৫. অনলাইনে পণ্য বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
৬. হোটেল, মোটেল ও বোর্ডিংয়ের কর্মীরা।
৭. পেট্রোল পাম্প ও জরুরি বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
৮. আর্থিক পরিষেবাদাতা ও জরুরি ইন্স্যুরেন্স সেবাদাতা কোম্পানির কর্মীরা।
৯. টেলিকমিউনিকেশন ও ইন্টারনেট সেবাদাতা কোম্পানির কর্মীরা।
১০. শারিকা মিয়াহ (রাষ্ট্রীয় পানি কোম্পানি)-এর কর্মীরা।
১১. নিরাপত্তা সংস্থা , স্বাস্থ্য দপ্তরসহ সরকারি পরিষেবাদাতা যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
১২. জরুরি ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী বহন করা যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
১৩. এসময়ে মুয়াজ্জিনরা শুধু মসজিদে আজান দেওয়ার জন্য মসজিদে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।
১৪. কূটনৈতিক মিশনে ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরতরা জরুরি প্রয়োজনে তাদের কর্মস্থলে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।
এদিকে, রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কারফিউ চলার সময় সব নিয়মকানুন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।