মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর আগে-পরে মিলিয়ে আরও পাঁচ দিনের ছুটি যোগ হবে এর সঙ্গে। এর মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি একদিন এবং চার দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ছুটির ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল সাধারণ ছুটি। এর সঙ্গে ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি।
সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সচিব বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। বেসরকারি অফিসও বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে হাসপাতাল, জরুরি সেবা, কাঁচাবাজার ও ফার্মেসি। গণপরিবহন সীমিত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মসজিদে না গিয়ে সবাইকে বাড়িতে নামাজ পড়ার আহ্বান জানান।
এর আগে সচিবালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা। সেখানে নানা প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যা যা করার সবই করছে সরকার। প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে সংশ্লিষ্ট জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।