অনলাইন ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় ৭টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কারণে সাময়িক সঙ্কটে কাতার। তবে এমন পরিস্থিতিতেও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজনে পিছ পা হচ্ছে না দেশটি। এমনকি কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী স্বয়ং বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
সুইজারল্যান্ডের এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফিফা প্রধান বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিক সংকট মোকাবেলা করছি। তবে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমি আশাবাদী। সেখানকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে ফিফা। আমরা কাতারের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। ‘কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনে আরো ৫ বছর সময় হাতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ফিফা প্রধান।’
অন্যদিকে কাতার সংকটের প্রভাব ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২২ বিশ্বাকাপের আয়োজক হিসেবে ফিফা ২০১০ সালে কাতারকে মনোনয়ন দেয়ার পর গ্যাস সম্পদে ভরপুর মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা রাজনৈতিকভাবে নিরাপদ একটি জাতি।
দোহার দাবি এই টুর্নামেন্টটির ইতিবাচক প্রভাব শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ছোট্ট দেশটি নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে পড়বে। তবে নতুন করে সৃষ্ট এই সঙ্কট কাতারের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। কাতার থেকে টুর্নামেন্টটি সরিয়ে নেয়ার জন্য এ পর্যন্ত যে সব সমালোচক ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তারাও নতুন করে আবার মাঠে নামতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএম