ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘মাস্কের ওপর যে নির্ভরশীলতা বাড়ছে সেটা শুধু মানসিক। সেটার কোনো প্রয়োজন নেই। সবার মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কেবল করোনা আক্রান্ত এবং তাদের যারা সেবা দেবেন তাদের ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।’
বাজারে মাস্কের পাশাপাশি দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর বেড়েছে স্যানিটাইজারের চাহিদাও। অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছে এসব পণ্যের দাম। আদালতের নির্দেশের পর এর বিরুদ্ধে রাজধানীজুড়ে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। ফার্মেসি, সুপারশপসহ বিভিন্ন কারখানায় চালানো হচ্ছে অভিযান। সকাল থেকে র্যাব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ওষুধ প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ করছে।
আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে সাবান পানি ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার সম্প্রতি দেশে এলেও এদেশের প্রেক্ষাপটে সাবান পানিকেই সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা বলে মনে করছে সংস্থাটি।
তবে করোনাভাইরাস ধ্বংসে সাবান কতটা কার্যকরী সে পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সাবান দিয়ে যদি ভালো করে ২০ সেকেন্ড ধরে ধৌত করলে জীবাণু মরে যাবে।’
তবে সাবান পানি দিয়ে শুধু হাত ঘষলেই জীবাণু ধ্বংস হবে না বলেও জানান ডা. ফ্লোরা। বলেন, ‘ এই ভাইরাসের মধ্যে একটি ইনভেলপ থাকে। সাবান দিয়ে ধৌত করলে এই ইনভেলপটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভাইরাসটিও কার্যকারিতা হারায়। তবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সাবান পানি দিয়ে হাতটি ধৌত করতে হবে।’