করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘করোনাকে পুঁজি করে যারা মাস্ক-সেনিটাইজারের দাম বাড়াবে, বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের পর সোমবার রাতে দলের প্রথম কার্যনির্বাহী সভার বৈঠকের বিষয়বস্তু জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার, সাবান, মজুত করে অবৈধ মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছে। এসব পণ্যের মূল্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো শুরু করেছে। তা আরও জোরদার করা হবে।’
করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে। সব স্থলবন্দরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৩ ভাগ লোক মৃত্যুবরণ করেছে। সুতরাং এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাসের কারণে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বিদেশি অতিথিরা আসছেন না জানিয়ে এখানে ‘রাজনীতি না খোঁজার’ আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষের যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেটি স্থগিত করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনোভাবেই যেন জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়। সে কারণে কর্মসূচি নতুন করে সাজিয়েছেন তিনি।’
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাসের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংযোগ নেই মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন,‘বিশিষ্ট মেহমানরা কেউ-ই অনুষ্ঠান স্থগিত করেননি। কাজেই পরিস্থিতির কারণে মানবিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা কর্মসূচির যে পুনর্বিন্যাস করেছেন, বিষয়টিকে অন্যভাবে উপাস্থাপন করার জন্য অনেকে চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে রাজনীতি আনতে চাচ্ছেন। তাদের চিরাচরিত অভ্যাস অনুযায়ী এখানে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটাতে চাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু আমরা বাস্তবতা অনুসরণ করে চলছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপমিণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।