সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে পদ্মার শ্যামনগর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে নৌকাডুবির ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো নয় জনে।
কনে সুইটি রাজশাহীর পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামের শাহিন আলীর মেয়ে। দেড় মাস আগে পদ্মার ওপারে একই উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের ইনসার আলীর ছেলে রুমন আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু তখন অনুষ্ঠান হয়নি। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রব নববধূর লাশ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নববধূ সুইটির মরদেহ উদ্ধারের মধ্যদিয়ে তাদের চারদিনের উদ্ধার অভিযান শেষ হতে যাচ্ছে।
নৌকাডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন শিশু রুবাইয়া, পূর্ণিমার চাচা শামীম হোসেন, তার স্ত্রী মনি খাতুন, তাদের মেয়ে রশ্নি খাতুন, কনের খালাতো ভাই এখলাস হোসেন, দুলাভাই রতন আলী, তার মেয়ে মরিয়ম খাতুন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাঝপদ্মায় ডুবে যায় বর-কনে ও তাদের স্বজন মিলে ৫০ জনকে বহনকারী দুটি নৌকা। তখন থেকেই ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, নৌ-পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। উদ্ধারকাজ দেখতে রবিবারও দিনভর অসংখ্য মানুষ পদ্মার পাড়ে ভিড় করেন। ছিলেন নিহতদের স্বজনরাও।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

