সেব্রিনা বলেন, ‘আক্রান্তদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী একই পরিবারের।’
আইইডিসিআর পরিচালক জানান, সম্প্রতি দুজন ইতালি প্রবাসী দেশে আসেন। তাদের একজনের মাধ্যমে পরিবারের নারী সদস্য আক্রান্ত হন। তিনি বলেন, ‘এই প্রবাসীরা কোথায় কোথায় গিয়েছেন, কাদের কাদের সঙ্গে মিশেছেন খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আক্রান্তদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।’
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’ করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজন না হলে জনসমাগমে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন সেব্রিনা। তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া আছে। আইসোলেশেন ইউনিট করা হয়েছে।’
সেব্রিনা বলেন, ‘আশঙ্কা করছি না আরও ছড়িয়ে পড়বে। প্রত্যেকের মাস্ক পরে ঘুরে বেড়ানোর কোনো দরকার নেই।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম নিউমোনিয়াসদৃশ এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর একে একে ১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগী সন্ধান মিলেছে। করোনাভাইরাসে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বে নিহত হয়েছেন ৩৬০০ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজারের বেশি। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।