২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১২

শিশু সামিয়া হত‌্যায় আসামির ফাঁসি চান মা-বাবা

রাজধানীর ওয়ারীতে শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আগামীকাল ঘোষণা করা হবে।

মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদের ফাঁসি চান সামিয়ার মা-বাবা।

সোমবার (০৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আবদুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করবেন।

গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত।

রায়ে আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করে সামিয়ার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। আসামির এমন সাজা হোক পরবর্তীতে যেন কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।’

সামিয়ার মা সানজিদা আক্তার বলেন, ‘যে আমার নিষ্পাপ মেয়েকে হত্যা করেছে তার মৃত্যুদণ্ড চাই। মেয়েকে তো আর ফিরে পাবো না, তবে তার ফাঁসি হলে শান্তি পাবো।’

রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল বারী বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করছি, তার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার উল্যা বলেন, ‘এ মামলায় হারুনকে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। আর রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তিনি খালাস পাবেন।’

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি হারুন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

গত ২ জানুয়ারি মামলার হারুনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই ট্রাইব্যুনাল।

গত বছর ৩০ অক্টোবর হারুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারী জোনাল টিম (নিরস্ত্র) মো. আরজুন।

উল্লেখ্য, শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার বাবা আব্দুস সালাম গত বছর ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ৭ জুলাই কুমিল্লার ডাবরডাঙা এলাকা থেকে হারুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন হারুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

প্রকাশ :মার্চ ৮, ২০২০ ৫:২৫ অপরাহ্ণ