বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে যেকোনো সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। এজন্য সবাইকে এ ব্যাপারে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা শনিবার দুপুরে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংকালে বলেন, ‘যেকোনো সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হতে পারে। তাই সবসময় প্রস্তুত থাকতে চাই।’
ডা. ফ্লোরা জানান, ১১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কারো মধ্যে করোনাভাইরাস নেই। গত ২১ তারিখ থেকে ৪৮ জনকে আইসোলেশনে নিয়ে নমুনা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিন জন আইসোলেশনে আছেন।
আইইডিসিআর পরিচালক জানান, জনসাবধানতাই পারে করোনা প্রতিরোধ করতে। তাই লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে বসে না থেকে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বাংলাদেশির অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। অপর একজন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এখন পর্যন্ত ৮৯টি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ভুটান, ক্যামেরুন, সার্বিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৮৭৩ জন। মারা গেছে তিন হাজার ৪০০ জন।’
দক্ষিণ কোরিয়া ইরান এবং ইতালির পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই এসব দেশে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা গভীরভাবে ও নিবিঢ়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা প্রবাসী মন্ত্রণালয় মাধ্যমে সকল দেশে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ওই সব দেশে এখন পর্যন্ত আর নতুন করে কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়নি।’
ইতালিতে একজন বাঙালি, আরব আমিরাত একজন এবং সিঙ্গাপুরে পাঁচজন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানান আইইডিসিআর পরিচালক।