শুধু জয় নয়, সতীর্থরা মাশরাফির বিদায়কে স্মরণীয় করতে ছোট ছোট দারুণ কিছু পদক্ষেপ নেয়। ম্যাচশেষে ‘ল্যাপ অব অনারে’ তামিম তো কাঁধেই তুলে নেন মাশরাফিকে। মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুলরা ধরেছিলেন পা। সব সতীর্থরা গায়ে জড়ায় মাশরাফির ‘২’ নম্বর জার্সি। যেখানে লেখা, ‘থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন’। বিসিবি থেকে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাও ক্রেস্ট দেয় মাশরাফিকে।
সব পাওয়ার দিনেও অপূর্ণতা ছিল মাশরাফির মনে। মাঠে যে ছিলেন না দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা, খুব কাছের ছোট ভাই সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাঠে উপস্থিতের কোনো সুযোগ ছিল না সাকিবের। আগের দিন মাশরাফির বিদায়ের ঘোষণা শুনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধিনায়ককে নিয়ে আবেগঘন বিবৃতি দেন সাকিব। ‘প্রিয় মাশরাফি ভাই’ও ভুলেননি সাকিবের কথা। তাইতো বিদায় বেলায় সাকিবকে নিয়ে আবেগ সংবরণ করতে পারেননি। সম্প্রচার চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, বিদায়ের দিনে সাকিবকে সবচেয়ে বেশি মিস করছেন।
‘আমাকে এত সম্মান দেওয়ার জন্য আমার সকল সতীর্থকে জানাই ধন্যবাদ। তবে আমি বলতে চাই, আমি মাঠে আজ সাকিবকে মিস করছি। সে আমার সঙ্গে সবসময় ছিল। আই মিস ইউ বয়।’ –সাকিবকে নিয়ে বলেন মাশরাফি।
সাকিব-মাশরাফির এ রসায়ন চলছে বহু আগের থেকে। যখন ফয়সাল থেকে সাকিব হওয়ার মিশনে নামে বাংলাদেশের সেরা অল রাউন্ডার। এছাড়াও অধিনায়কত্বের ব্যাটন দিতে সাকিবকে সবচেয়ে বেশি যোগ্য মনে করেন মাশরাফি। বিভিন্ন সময় এই কথা বলেছেন বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক। এমনকি ২০১০ সালে টেস্ট, ওয়ানডেতে মাশরাফি যখন অধিনায়ক হন। তার ইনজুরিতে অধিনায়কত্ব চলে আসে সাকিবের কাছে। তখন টিম টাইগারকে সাকিব যেভাবে সামলিয়েছেন তার প্রশংসাও বিভিন্ন সময় ঝরে মাশরাফির কণ্ঠ থেকে। এমনকি মাশরাফির শেষ টি-টোয়েন্টি! প্রিয় বড় ভাইকে বিদায় জানাতে সব দায়িত্ব তো একাই কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সাকিব।
তাই মাঠে সাকিবকে মিস না করে উপায় ছিলো কি মাশরাফির! নাকি বিদায়বেলা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আলোকবর্তিকা সাকিবের হাতে তুলে দিয়ে যেতে পারেননি বলেই আক্ষেপ ঝরেছে মাশরাফির কণ্ঠে।