এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত অক্টোবরেও সরকারি একটি বৈঠকে নরওয়ে বিষয়টি তুলেছিল। আমরা তাদের জানিয়েছিলাম বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে সরকার নির্ধারিত অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে নরওয়ে সরকারের বক্তব্য হচ্ছে, যে পরিমাণ অর্থই ধার্য করা হোক, সেটি যেন ন্যায্যভাবে করা হয়। এ বিষয়ে আমরা কাগজপত্র তৈরি করেছি। সচিবদের বৈঠকে টেলিকম কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা থাকবেন।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিলে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধে গ্রামীণফোনকে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। কিন্তু গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় অপারেটরটির লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। এরপর গত মাসে গ্রামীণফোন ১ হাজার কোটি টাকা জমা দেয়। তিনমাস পর আরও ১ হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়া হবে বলেও জানায় তারা।
সামুদ্রিক অর্থনীতি
সমুদ্র অর্থনীতিতে অত্যন্ত দক্ষ নরওয়ে। সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে দেশটির সহায়তা চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে মাছ ধরাসহ সমুদ্র অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে নরওয়ের দক্ষতা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নরওয়ের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।’ গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কোনও অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের এবং এ বিষয়ে সহায়তা দিতে নরওয়ে প্রস্তুত বলে তিনি জানান। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মাছ ধরার নৌ-যানগুলো শুধু সমুদ্রের অগভীর পানিতে মাছ আহরণ করে।
দক্ষতা উন্নয়ন
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এটি টেকসই করতে হলে যে পরিমাণ স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা দক্ষতা উন্নয়ন দরকার তার ঘাটতি রয়েছে দেশে। এজন্য ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় সরকার। এবিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আমরা ইউরোপের প্রায় সব দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি। নরওয়ের সঙ্গেও আমরা বিষয়টি তুলবো।’ কোন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আলোচনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক অর্থনীতি বিশেষ করে সমুদ্র থেকে খনিজ সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে।’