সোমবার সকালে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ এর বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য আদালতে মামলাটি করেন তাবিথ। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম এহসানুর রহমান।
আইনজীবী এহসানুর রহমান বলেন, আবেদনে ভোটগ্রহণের অনিয়ম উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আতিকুল ইসলামসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি। নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান এহসানুর।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুই সিটিতেই মেয়র পদে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে মেয়র হন নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণে মেয়র হন নৌকার আরেক প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির দুই প্রার্থী। দলটির পরাজিত দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে সিটি ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। একইসঙ্গে ভোটের নানা ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ তথ্যপ্রমাণ বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের কাছে তুলে ধরেন তারা।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে দুই মেয়র শপথও নিয়েছেন। মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।
সেই হিসেবে আজ ভোটের ফল বাতিল চেয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ মামলা করেন উত্তরে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করা তাবিথ আউয়াল।