২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:১৫

ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণার নির্দেশ

১৯৭১ সালের ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া, দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় যথাযথ স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে এক মাসের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

এছাড়া, ২০০৯ সালের এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ কেন বাস্তবায়ন করা হয়নি, এক মাসের মধ্যে লিখিতভাবে তা ব্যাখ্যা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাঠ্যবইয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ইতিহাস কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এক রিটের শুনানি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য এবং ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত স্থান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

প্রকাশ :ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ