পাপিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অবৈধ অর্থ পাচার, জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। মামলার ন্যায়বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার বিরোধিতা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে নয়া দিল্লিতে যাওয়ার সময় বহির্গমন গেট থেকে মফিজুর ও সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিন থেকে পাপিয়া ও তায়্যিবাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাদের কাছ থেকে জাল টাকা, অস্ত্র ও ডলারসহ প্রায় সাড়ে নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অভিযোগ ওঠার পর তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার রাজধানীর বিমান বন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পাপিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, শামীমা নূর পাপিয়ার নামে রাজধানী ঢাকা ও নরসিংদীতে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে নারীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করে অর্থ আয়ের মাধ্যম ছিল তার। এছাড়া, রেলওয়ে ও পুলিশে এসআই পদে চাকরির কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন পাপিয়া।