জনগণের ঐক্যের মধ্যদিয়ে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ঐক্যের কথা শুধু বলব না। বাস্তবে ঐক্যকে সুসংহত করতে হবে গ্রামে, শহরে, সবখানে। ঐক্যের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মালিকানার ভূমিকা পালন করা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব।
অমর একুশে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গণফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ড. কামাল একথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আলোচনা সভাটির আয়োজন করা হয়।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি। গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতা যেমন আমরা অর্জন করব তেমনি দেশের সম্পদের মালিকের ভূমিকা আমরা রাখতে পারব এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারব।’
ষোল কোটি মানুষের এই দেশে যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলো খুবই গঠনমূলক উল্লেখ করে কামাল বলেন, ‘আমরা কী চাই? আমরা উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা চাই, উন্নত মানের স্বাস্থ্যসেবা চাই। আমাদের ইতিবাচক যে লক্ষ্যগুলো আছে, সেগুলো সামনে রেখে এই ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েই আছে। এখন আমাদের শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।’
‘যারা আমাদের বঞ্চিত করতে চায় তাদের থামাতে হবে’
জনগণকে মালিকের ভূমিকায় রাষ্ট্র ক্ষমতা ভোগ করতে হবে জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, ‘যারা আমাদের বঞ্চিত করে রাখতে চায়, যারা পুঁজি পাচার করে বিদেশে সম্পত্তি করছে, তাদের থামাতে হবে ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে। বলতে হবে, তোমাদের থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই। তোমরা সম্পত্তি-টম্পত্তি করেছ। তোমরা চলে যাও। তোমাদের সম্পত্তি ফেরানোর ব্যবস্থা আমরা করছি। সেটা আমরা পারব যদি আন্দোলন নিয়ে আমরা এগোতে পারি।’
‘রাষ্ট্রক্ষমতাকে কেন্দ্র করে দেশ শাসন করতে হবে। সে জন্য আমাদের প্রয়োজন নির্ভেজাল গণতন্ত্র। আমাদের প্রত্যেকে রাষ্ট্রের মালিক। মালিক হিসেবে সবাই মিলে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, পুঁজি পাচারকারী চিহ্নিত করে দেশ রক্ষা করা এবং দেশের সম্পদ রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে।’
যৌথভাবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ গড়া স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এজন্য আমাদের শপথ নিতে হবে। এটা অবশ্যই সম্ভব এবং স্বাধীনতার লক্ষ্য এটাই ছিল।’
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার চৌধুরীসহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।