আতশবাজির ঝলকানিতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে চিত্রা নদীর রাতের আকাশ।
এরপর চিত্রার পারে উদীয়মান নক্ষত্র অভিষেককে বরণ করে নড়াইলবাসী।
রাত পৌনে ৮টার দিকে নরাইলের সুলতান মঞ্চে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে আতশবাজির এ আয়োজন। সেই রঙ-বেরঙের আলোর ঝলকানি পৌঁছে যায় যুব বিশ্বকাপ বিজয়ী ক্রিকেট তারকা অভিষেক দাসের নড়াইল শহরের আনাচে কানাচে।
এ আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে সোমবার সন্ধ্যার আগে থেকেই সুলতান মঞ্চ চত্বরে জড়ো হন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এ সময় ক্রিকেটার অভিষেক দাস অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে সবাইকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে অভিষেক বলেন, ‘মাশরাফি ভাই-ই আমার অনুপ্রেরণা। মাশরাফি ভাইয়ের মতো ভালো খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখি।’
অভিষেকপ্রেমীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আসেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, অভিষেকের বাবা অসিত দাস, ভারতের কলকাতা থেকে আগত অভিষেকের আত্মীয় জয়দেব কুমার, নড়াইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাসানুজ্জামান হাসান, নড়াইল পৌর কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু, আসলাম খান লুলু, আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ খান মিলন প্রমুখ।
যে চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে, দুরত্বপনায় বেড়ে উঠেছেন ক্রিকেট বিশ্বের আরেক কিংবদন্তী নড়াইলের ‘কৌশিক’ তথা মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেই চিত্রাপাড়ের ছেলে অভিষেকও। তার বাড়ি নড়াইল শহরের চিত্রা নদীর পাড়ে বাঁধাঘাট চত্বরে।
অভিষেকের বাবার নাম অসিত দাস ও মা করুনা দাস। তিনি এবার নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে থেকে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নেবেন। এসএসসিতে ‘এ’ পেয়েছিলেন।
তবে বাবা-মা, পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের কাছে ‘অরণ্য’ নামে বেশি পরিচিত। সেই অরণ্য বা ‘অভিষেক’ই গত ৯ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তিন ইউকেট শিকার করে খেলায় অনেক অবদান রাখেন।