সারাদেশে ফিটনেসবিহীন, নিবন্ধনহীন, চলাচলের অযোগ্য অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং এসব গাড়ি বন্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিআরটিএ এবং পুলিশের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলায় একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছে।
রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইন ফিরোজী ও অ্যাডভোকেট রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও সড়ক পরিবহন সচিবকে আদালতের নির্দেশনা পালন করতে হবে। এছাড়া টাস্কফোর্সের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে ডিসিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ফিটনেসবিহীন, আনফিট ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও নতুন সড়ক আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে সারাদেশে প্রত্যেক জেলায় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী বলেন, বিআরটিএ আজ আদালতকে জানায় তারা জনবল সংকটের কারণে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। তারা টাস্কফোর্স গঠনের আবেদন করে। এজন্য হাইকোর্ট টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন।
এই টাস্কফোর্স সব গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করতে পারবে এবং ফিটনেসবিহীন, আনফিট ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি আটক, চালককে গ্রেপ্তার, জরিমানা ও গাড়ি ডাম্পিং করতে পারবে। এই আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী তিন মাস পর হাইকোর্টকে জানাতে বলেছে। আগামী ১ জুন এই রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িসংক্রান্ত একটি ইংরেজি দৈনিকে গত বছরের ২৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরের আনেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। এরপর ওইদিন আদালত রুলসহ আদেশ দেন। রুলে ফিটনেসবিহীন, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে আদালত।
রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন-সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ ডিরেক্টর (রোড নিরাপত্তা) ও দুদক চেয়ারম্যান।