চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, আক্রান্তের সংখ্যা নিহতের কয়েকশগুণ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও আড়াই হাজারের বেশি মানুষের দেহে ভাইরাসটির সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে রবিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৬৯ হাজারে পৌঁছেছে।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত জাপানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশজনের দেহে নতুন এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর আগে উৎপত্তিস্থল উহানে এক জাপানি নাগরিক মারা গেলেও গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো জাপানে এই ভাইরাসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ নারীর মৃত্যু হয়।
এছাড়াও চলতি মাসের প্রথমদিকে হংকং ও ফিলিপাইনে একজন করে মারা যান। আর গতকাল শনিবার এশিয়ার বাইরের দেশ ফ্রান্সে এক চীনা পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। ৮০ বছর বয়সী ওই চীনা পর্যটক সম্প্রতি হুবেই থেকে ফ্রান্সে বেড়াতে এসেছিলেন।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ থাবায় চীনের উহান শহরটি এখন কার্যত অচল হয় আছে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বহু স্বেচ্ছাসেবী আক্রান্তদের হাসপাতালে আনা-নেয়া করছেন। আবার অনেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের যাদের পরিবহনের ব্যবস্থা নেই তাদের সহায়তার চেষ্টা করছেন। দেশটিতে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ছয় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে গত ১২ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের অন্তত ৪০০ বিজ্ঞানী নিয়ে সভা করেছে। সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত দিকনির্দেশনা আসবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে প্রতিষেধক তৈরি হতে অন্তত ১৮ মাস সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
গত বছরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। এতে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। এছাড়া চীনের বাইরেও ২৭টির বেশি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। সিঙ্গাপুরে থাকা পাঁচ বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়নি। তবে এই ভাইরাস ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক নানা ব্যবস্থা।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

