ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শোবিজ অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কলকাতা আসেন সুবর্ণা। কিন্তু টলিপাড়ায় বড় পরিসরে কাজের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এতে হতাশা আর মানসিক অবসাদ গ্রাস করে তাকে। এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সুবর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুবর্ণার বাবা নিখিল যশ বলেন, ‘শহরের বিদ্যার্থীভবন গার্লস স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে সুবর্ণা। তারপর সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করতে কলকাতা যায়। তিন বছরের কোর্স। এর ফাঁকে মডেলিং শুরু করে সুবর্ণা। টালিগঞ্জে যাতায়াত বাড়তে থাকে। মেগা সিরিয়ালেও অভিনয়ের সুযোগ পায়। ‘ময়ূরপঙ্খী’ নাটকে নায়িকার বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু লিড কোনো চরিত্র পাচ্ছিল না। এরপর থেকে হতাশায় ভুগতে শুরু করে সুবর্ণা।’
চার মাস আগে হাতাশাগ্রস্ত হয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবর্ণা। এরপর বর্ধমানের বাড়িতে তাকে নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। কিন্তু তারকা হওয়ার স্বপ্ন ছাড়তে পারেননি তিনি।