স্পোর্টস ডেস্ক : অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতকে ১৭৭ রানে অলআউট করে দিল বাংলাদেশ। টাইগার যুবাদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ৪৭.২ ওভারে অলআউট হয় ভারত।
প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ে ইতিহাস গড়তে হলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১৭৮ রান করতে হবে।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। পিচের আর্দ্রতাকে কাজে লাগানোর জন্য এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় ভারত। দলীয় ৯ রানে ভারতীয় ওপেনার দিব্বংশ সাক্সেনাকে সাজঘরে ফেরান অভিষেক দাস।
এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন যশস্বী জসওয়াল। এই জুটিই বেশি ভুগিয়েছে বাংলাদেশি যুবাদের। দ্বিতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েন জসওয়াল ও ভার্মা। তিলক ভার্মাকে আউট করে জুটির বিচ্ছেদ ঘটান তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ১০৩ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ভার্মা। তার আগে ৬৫ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৮ রান করেন তিনি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশি যুবারা। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে দ্রুত সাজঘরে ফেরান রাকিবুল হাসান।
ভারতীয় শিবিরে এরপর জোড়া আঘত হানেন শরিফু্ল ইসলাম। ইনিংসের শুরু থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া ভারতীয় ওপেনার জসওয়ালকে সাজঘরে ফেরান শরিফুল। তার বলে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জসওয়াল। তার আগে ১২১ বলে ৮টি চার ও এক ছক্কায় ৮৮ রান করেন ভারতীয় এ ওপেনার।
ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগে শরিফুলের দ্বিতীয় শিকার সিদ্ধেশ বীর। তিনি এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। কিন্তু পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেটে সাফল্য না পাওয়ায় হ্যাটট্রিক হয়নি তার।
এরপর আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ৩৮ বলে ২২ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ধ্রুব জুরেল। ৬ বলে ২ রান করার সুযোগ পান রবি বিষ্ণু। ৭ বলে ৩ রান করে অভিষেক দাসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অথর্ব আঙ্কোলেকার। কার্তিক ত্যাগীকে রানের খাতা খুলার সুযোগ দেননি বাংলাদেশ দলের তরুণ পেসার অভিষেক দাস।