শনিবার দেশটির নাখন রাচসিমা শহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ওই সেনা সদস্য। এতে ২১ জন নিহতের পাশাপাশি অনেকে আহত হয়েছেন। সেনা ক্যাম্প থেকে অস্ত্র চুরির আগে ওই সেনা তার কমান্ডিং অফিসারকে হত্যা করে। তবে ওই সেনা কেন গুলি চালিয়েছে তার কারণ জানা যায়নি।
থাইল্যান্ডের গণস্বাস্থ্য মন্ত্রী আনুতিন ছার্নভিরাকুল রবিবার সকালে তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিরাপত্তা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ অবস্থার পরিসমাপ্তির জন্য। বন্দুকধারী গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এর আগে বিবিসি থাই দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানায়, জাক্রাফান থাম্মা নামের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা একটি সামরিক শিবির থেকে বন্দুক ও গুলি চুরি করার আগে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালান। এরপর ওই সৈন্য শহরটির একটি বৌদ্ধ মন্দিরে ও বিপণীবিতানে গুলিবর্ষণ করেন।
ব্যাংকক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাকারী ওই সেনাসদস্য সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে প্রথমে তার কমান্ডারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় আরও দুই সেনাসদস্যকে গুলি করে স্বয়ংক্রিয় একটি রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে মং জেলার শপিং মলের ২১ নম্বর টার্মিনালের দিকে যেতে যেতে গুলি বর্ষণ করেন তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই হামলার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করেন ওই সেনাসদস্য। শপিংমল এলাকায় হামলা শুরুর দিকে রাইফেল হাতে নিয়ে একটি সেলফি তোলেন তিনি। ফেসবুক লাইভের ক্যাপশনে লিখেন, অনেক বেশি ক্লান্ত। এই পোস্টের কিছুক্ষণ পরই ফেসবুক লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। থাইল্যান্ডে কোনো সৈন্যের এভাবে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনা নজিরবিহীন বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।