সরকারদলীয় প্রার্থীর জন্য এক আইন আর আমাদের জন্য আরেক আইন কিনা সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, নির্বাচন আচরণ বিধিতে উল্লেখ আছে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, কোনো সংস্থা, কোনো ব্যাক্তির জনসভা করার কোনো অধিকার নেই। কিন্তু আজকে শুধুমাত্র সরকারের থাকার কারণে এবং এরকম একটি আপসকামী নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত সেই কমিশন থাকার কারণে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের ক্ষমতায় ক্ষমতায়িত হয়ে আজকে তারা সমাবেশ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়েছিলাম আমরা জানতে চেয়েছি আওয়ামী লীগের সমাবেশ নিয়ে আমরা যে আপত্তি দিলাম সে বিষয়ে কি হলো? তিনি আসলে সেটার পরিষ্কার কোনো জবাব দিতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছেন দেখছি। আমি বলেছি দেখছি বলতে বলতে তো এক তারিখ পার হয়ে যাবে, নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে। এখনতো হলো তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, কথা বলছে তা না হলে নির্বাচন কিভাবে হবে।
আওয়ামী লীগের সমাবেশের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ শেষে ইশরাকের গোপিবাগের বাসার নিচে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আবদুস সালাম বলেন, গত দুদিন ধরে আমাদের প্রতিটি নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ যেয়ে হামলা করছে, যাদেরকে না পাচ্ছেন তাদের আত্মীয় স্বজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদেরকে বলে দেয়া হচ্ছে অন্তত ইলেকশন পর্যন্ত কেউ যেন এলাকায় না থাকে। তাই আমরা বলব ইলেকশনের পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনের। ইলেকশন কমিশনের অধীনে এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। এখন পর্যন্ত আমরা দেখলাম না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব কাজ করছে তার বিরুদ্ধে এই কমিশন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে তিনি কথা দিয়েছিলেন ফুটপাতে বা রাস্তায় যে সমস্ত নির্বাচনী ক্যাম্প করা হয়েছে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেঙ্গে দেয়া হবে। কিন্তু ২৪ ঘন্টা কেন ৭৮ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও একটা ক্যাম্পও ভাঙ্গা হয়নি বরং সেটা আরো বাড়ছে। সকাল ছয়টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত সারাক্ষণ তারা মাইকিং করছে।
আবদুস সালাম বলেন, আমরা বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনের যে সকল মেজিস্টেড আছেন তারা যেনো ভিজিবল হয়। তারা যেন প্রতিটি এলাকায় এলাকায় মুভ করে এবং তাদের আইনের যে বিধি আছে সেই বিধি যারা লংঘন করছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং সেগুলো মিডিয়াতে আসলে যারা এসব করছে তারা কিছুটা পিছু পা হবে। কিন্তু আমরা কোথাও কোন কিছু দেখতে পাচ্ছি না