বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ইইউ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিটের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট পড়ে ৬২১টি এবং বিপক্ষে পড়ে ৪৯ ভোট। ঐতিহাসিক এ ভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট সদস্যরা ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দেন।
আশা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবারই এই বিলে সই করবেন ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তারপরই নির্ধারিত সময়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চূড়ান্ত বিচ্ছেদ ঘটবে ব্রিটেনের।
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট পার্টির নাইজেল ফারাজসহ ইইউ বিরোধী ব্রিটিশ এমইপিরা ইইউ-বিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিলেও কয়েকজন ব্রিটিশ এমইপি এক দিন যুক্তরাজ্য আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড স্যাসুলি বলেন, ব্রেক্সিটের ফলে সংসদ সদস্যরা ‘গভীরভাবে মর্মাহত’ হয়েছেন। আপনারা (ব্রিটেন) ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়েছেন, তবে এরপরও আপনারা ইউরোপের অংশ হয়ে থাকবেন।
গণভোটের পর প্রায় সাড়ে তিনবছর অনেক চড়াই-উতরাই শেষে নির্ধারিত দিনেই (৩১ জানুয়ারি) চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে ব্রেক্সিট।
তবে ইইউ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে আরও সময় লাগবে৷ চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে চান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তবে মাত্র এগারো মাসের মধ্যে বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে ইইউর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ঘোর সংশয় দেখা দিয়েছে৷ বিষয়টিকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷