২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৫৩

যে হ্রদের কাছে গেলেই মৃত্যু

ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অরুণাচল প্রদেশের ঘন জঙ্গলে ঘেরা গ্রাম পাংসাউ। এই গ্রামেই রয়েছে একটি রহস্যময় হ্রদ।

কথিত আছে, এই হ্রদের কাছে গেলে কেউ ফিরে আসে না। অর্থাৎ আপনি যত হ্রদটির কাছে এগিয়ে যাবেন হৃৎপিণ্ডের গতি ততটাই কমে আসবে। ধীরে ধীরে ঢলে পড়বেন মৃত্যুর কোলে। যে কারণে হ্রদটিকে বলা হয় ‘লেক অব নো রিটার্ন’ বা না-ফেরার হ্রদ।

১.২ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘের হ্রদটি প্রায় এক শতাব্দী ধরে এই রহস্য নিয়ে টিকে আছে। স্বাভাবিকভাবেই রহস্যের জাল ক্রমে গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে হ্রদটি পরিচিত হয়ে উঠেছে অশুভ ও প্রাণঘাতী হিসেবে।

শুরুটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে। কথিত আছে, সেসময় হ্রদের পাশে একটি মার্কিন যুদ্ধ বিমান জরুরি অবতরণ করে। নিকটবর্তী যুদ্ধের ময়দান থেকে এই অবতরণের দৃশ্য দেখেছিল অন্য সেনারা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই বিমান এবং পাইলট অদৃশ্য হয়ে যায়।

এই গল্প দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এরপর আরও একটি কাহিনি এই রহস্য আরও ঘনীভূত করে তোলে। একদল যুদ্ধ ফেরত জাপানি সেনা পথ হারিয়ে এই হ্রদের তীরে উপস্থিত হয়। যথারীতি তারাও অদৃশ্য হয়ে যায়। এই গল্পও ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগে না।  এরপর থেকেই কেউ ভয়ে ওই হ্রদের ত্রিসীমানায় যেত না। যদিও সেসময় জায়গাটি ছিল ঘন জঙ্গলে ঘেরা। এখন জঙ্গল অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। শুধু পরিষ্কার হয়নি এই রহস্যের কারণ।

ভারতকে পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই দেশে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এমনও অনেক রহস্যময় জায়গা আছে যেগুলোর রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়নি। লেক অব নো রিটার্ন তেমনই একটি রহস্যময় জায়গা।

প্রকাশ :জানুয়ারি ৩০, ২০২০ ১:২৬ অপরাহ্ণ