সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হঠাৎ করেই শোনা যাচ্ছে দেশে ডিজেলের সংকট দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে দামও। তাই বেড়ে গেছে ডিজেল বিক্রির পরিমাণ। বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সংকটের গুজবে কান না দিতে বলেছেন বিপিসির চেয়ারম্যান সামছুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ডিজেলের কোনও সংকট নেই। বরং এখন আমাদের কাছে ১৩ দিন সরবরাহ করা যাবে এমন পরিমাণ ডিজেল আছে। কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে ডিজেলের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংকট তৈরির জন্য কেউ বাড়তি মজুত করছে কিনা, তা জানতে সংশ্লিষ্ট ডিপোগুলোর কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে কোথায় সমস্যা।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে ১৩ দিনের ডিজেল মজুত আছে। ১৫ ফেব্রুয়ারিতে এই মজুত গিয়ে দাঁড়াবে ২৫ দিনের এবং ১ মার্চ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৯ দিনের। আজ দুই জাহাজে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুটি জাহাজে ৩৩ হাজার টন ডিজেল আনলোড হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মোট মজুত গিয়ে দাঁড়াবে ৫ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টনে। এছাড়া কুতুবদিয়ায় আরও ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন মজুতের একটি জাহাজ রাখা হচ্ছে। যেটিতে ৪০ দিনের রিজার্ভ রাখা হবে।
সামছুর রহমান বলেন, আমাদের এই মজুতের হিসাব থেকে বোঝা যায় চাহিদার চেয়ে বেশি মজুত আছে। আমরা উল্টো এই অতিরিক্ত ডিজেল কীভাবে বিক্রি করবো তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।
অস্বাভাবিক বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ করেছি গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি বছর বিক্রি প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। জানুয়ারি মাসের কয়েকটা দিনের হিসেবে প্রায় অস্বাভাবিক বিক্রি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
তেল পাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ডিজেল কিনে কেউ যাতে পাশের দেশে বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য আমরা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করেছি।
দাম বাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, ২০১৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম উঠা-নামা করলেও আমরা একই দামে এখনও তেল বিক্রি করছি। নতুনভাবে দাম নির্ধারিত না হলে এই দামই বহাল থাকবে। ডিজেলের দাম আলাদাভাবে বাড়ার কোনও সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।