ফ্লোরিডায় মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিমান ঘাঁটিতে এক সৌদি ক্যাডেটের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন সরকার।
বিবিসি জানিয়েছে, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার পেনসাকোলা নৌ-বিমান ঘাঁটিতে গুলি চালায় সৌদি বিমান বাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আলশামরানি (২১)।
এতে তিন মার্কিন নাবিক নিহত এবং আটজন আহত হন। পরে মার্কিন ডেপুটি শেরিফের পাল্টা গুলিতে নিহত হন আলশামরানি। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি সামরিক সদস্যদের প্রশিক্ষণ স্থগিত রাখা হয়।
তবে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা ওই ক্যাডেটকে সহায়তা করেছিলেন এরকম কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপরও তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার বলেছেন, বহিষ্কৃত সৌদিদের কাছে জিহাদি উপাদান ও শিশুদের অশ্লীল ছবি পাওয়া গেছে। সে কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মার্কিন ঘাঁটিতে ওই হামলার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী কাজ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, বহিষ্কৃত সামরিক প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ১৭ জনের কাছে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করা সন্ত্রাসবাদী উপাদান পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই ১৭ জনের মধ্যে ১৫ জনের কাছে শিশুদের অশ্লীল ছবি পাওয়া গেছে।
এফবিআই জানিয়েছে, ঘটনাটি আলশামরানি একাই ঘটিয়েছেন বলে বিশ্বাস মার্কিন তদন্তকারীদের। বহিষ্কৃতরা এফবিআইয়ের তদন্তে পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছে। এছাড়া তদন্তে সৌদি আরবও ‘পূর্ণ’ সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করেছে।
বহিষ্কৃত ২১ প্রশিক্ষণার্থীকে সোমবার দেশে পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। তবে নিজ দেশে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।