ফৌজদারি মামলায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যান হিসেবে তলব করেছে ঢাকার শ্রম আদালত। কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরির্দশন অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলাটিতে ইউনূসসহ গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের চারজনকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম এই আদেশ দেন জানিয়ে ওই আদালতের পেশকার মিয়া মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আসামি সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিধান রয়েছে।’
গত ৫ জানুয়ারি মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম। ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আব্দুল হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকরকে মামলায় বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুত হওয়া গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের তিন কর্মীর পৃথক তিনটি মামলায় ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল একই আদালত। গত ৯ অক্টোবর পরোয়ানাটি জারির পর ৩ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন ইউনূস।
অন্যদিকে নতুন মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম গতবছর ১০ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে ১০টি বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখতে পান। এর আগে গত বছরের ৩০ এপ্রিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এক পরিদর্শক প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে বেশকিছু ত্রুটি দেখতে পেয়ে তা সংশোধনের নির্দেশনা দেন।
এরপর ওই বছর ৭ মে ডাকযোগে এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষ জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি। পরে গত ২৮ অক্টোবর তরিকুল ইসলাম আবারও তা অবহিত করেন। নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করে বিবাদীরা ফের সময়ের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের সময় অনুযায়ী তারা জবাব দাখিল করেননি। এরপরই মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।