বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজহারভুক্ত পলাতক আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করেন মোর্শেদ। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটিতে গত ৫ জানুয়ারি চার পলাতক শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন আদালত। ১৩ জানুয়ারি এ বিষয় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ওই চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে, এ সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আসামিরা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন এজহারভুক্ত ও শেষের জন এজহারবহির্ভূত।
গত বছরের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে মারা যান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে ডিবি পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এছাড়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি পুলিশ হত্যায় জড়িত আরও ছয়জনের সম্পৃক্ততা পায়। মোট ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে এবং চারজনকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আলোচিত এই মামলায় এজাহারনামীয় ১৬ আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা ও এ এস এম নাজমুস সাদাত।